জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি): নাহিদ ইসলামের নেতৃত্বে বাংলাদেশের নতুন রাজনৈতিক শক্তি
বাংলাদেশের রাজনীতিতে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি
(ন্যাশনাল সিটিজেন পার্টি – এনসিপি) প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে। এই নতুন রাজনৈতিক দলটির আহ্বায়ক
নির্বাচিত হয়েছেন নাহিদ ইসলাম, যিনি গণঅভ্যুত্থান ও বিভিন্ন আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য পরিচিত।
নাহিদ ইসলাম: তরুণ প্রজন্মের রাজনৈতিক আইকন
নাহিদ ইসলামের রাজনৈতিক জীবনের শুরু হয়েছিল ২০১৮ সালের কোটা সংস্কার আন্দোলন থেকে।
এরপর তিনি ২০১৯ সালে ডাকসু নির্বাচনে অংশ নেন এবং পরবর্তীতে গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তির
সঙ্গে যুক্ত হন। তবে তার রাজনৈতিক ক্যারিয়ারের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত আসে ২০২৪ সালের
গণঅভ্যুত্থানে নেতৃত্বদান করার মাধ্যমে, যা তৎকালীন সরকারের পতনের অন্যতম কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
এনসিপি প্রতিষ্ঠার পটভূমি
২০২৪ সালের জুলাই মাসের গণঅভ্যুত্থানের পর, দেশের রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং জনগণের
অসন্তোষের প্রেক্ষাপটে নতুন রাজনৈতিক শক্তির প্রয়োজন দেখা দেয়। সেই প্রেক্ষাপটেই
জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) গঠিত হয়, যার নেতৃত্বে আসেন নাহিদ ইসলাম ।
দলটি মূলত গণতন্ত্র, ন্যায়বিচার এবং জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কাজ করছে।
কেন নাহিদ ইসলাম এনসিপির প্রধান?
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, নাহিদ ইসলামের সাংগঠনিক দক্ষতা, নেতৃত্বগুণ এবং
জনগণের সঙ্গে সংযোগ তাকে এনসিপির শীর্ষ পদে নিয়ে এসেছে। দলের যুগ্ম আহ্বায়ক
আরিফুল ইসলাম আদীব বলেন, “নাহিদ ইসলামের নেতৃত্বের প্রতি সর্বজনীন সমর্থন রয়েছে,
কারণ তিনি সবসময় জনগণের অধিকারের জন্য লড়াই করেছেন।”
নাহিদ ইসলামের সংগ্রামী জীবন ও চ্যালেঞ্জ
নাহিদ ইসলাম তার রাজনৈতিক জীবনে নিপীড়ন ও নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। কোটা সংস্কার আন্দোলন
এবং পরবর্তী সময়ের বিভিন্ন প্রতিবাদে তিনি শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের সম্মুখীন হন।
কিন্তু তিনি কখনোই পিছু হটেননি, বরং আরও শক্তিশালী হয়ে রাজনৈতিক সংগ্রাম চালিয়ে গেছেন।
এনসিপির ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ও লক্ষ্য
এনসিপি গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার, মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং জনগণের স্বার্থ রক্ষায় কাজ
করবে বলে জানিয়েছে। দলটির সহ-মুখপাত্র মুশফিক উস সালেহীন বলেন, “নাহিদ ইসলামের নেতৃত্বে
এনসিপি ফ্যাসিবাদী শাসনের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছে এবং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে।”
নাহিদ ইসলাম এবং তার দল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন সম্ভাবনার
দ্বার উন্মোচন করেছে। গণঅধিকার প্রতিষ্ঠা ও জনগণের স্বার্থ রক্ষার লক্ষ্যে
গঠিত এই দলটি দেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।